বিখ্যাত মনীষী হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)
একাধারে আলেম ও দরবেশ, ইসলামি জ্ঞানের প্রকাশ্য শাখার বিদ পণ্ডিত, মুফতী, আবার জ্ঞানের গূঢ় শাখার অগ্রগামী পুরুষ হলেন বিখ্যাত মনীষী হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)। বাগদাদের অধিবাসী বলেই বাগদাদী। প্রখ্যাত তাপস হযরত সাররী সাকতী (র)-এর ভাগিনা তিনি। তাঁর সম্পর্কে বড় করে বলার কথা এই যে, সমকারের বিভিন্ন পন্থী সাধক এক বাক্যে তাঁকে নিজেদের ইমাম বলে। স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁকে শায়েখদের কেন্দ্র ও বলা হতাে।
আসলে তিনি ছিলেন শরীয়ত, তরীকত ও হাকীকত সমুদ্রের এক অনুসন্ধানী বিজ্ঞানী। জাতির মুখপাত্র, জাতির গৌরব। এক কথায় এক যুগপ্রবর্তক। তাছাড়া তিনি ছিলেন এক অসাধারণ লেখক। তাঁর রচিত ধর্মবিষয়ক গ্রন্থ পৃথিবীর এক মহামূল্যবান সম্পদ। অনেকে বলেন, মারেফাতের এত যে বিস্তৃতি ঘটেছে, তার মূলে তিনিই। কিন্তু দুঃখের কথা, এক শ্রেণীর লােক তাকে কাফের বলতে দ্বিধা করেননি। কিন্তু নিন্দুকদের কটুক্তি অসার প্রতিপন্ন করে তিনি সমকালের যুদ-পুরুষ হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে আছেন।
একবার হযরত সাররী সাকতী (র)-কে প্রশ্ন করা হয়, মুরীদের মর্যাদা কি মুরশিদের চেয়ে বেশি হতে পারে? তিনি বলেন, কেন পারে না? এ-ব্যাপারে তোমরা আমার এবং আমার ভাগিনার অবস্থাটা দেখতে পার। সে আমার শিষ্য বটে, কিন্তু আল্লাহর রহমতে মর্যাদার দিক দিয়ে সে আমার অপেক্ষা উন্নত।
তাঁর সম্পর্কে হযরত সােহায়েল তশতরী (র) বলেন, যদিও হযরত জুনায়েদ (র)-এর মর্যাদা অন্যান্য তাপসের চেয়ে উন্নত এবং যদিও তিনি হযরত আদম (আ)-এর মতাে উপাসনানিষ্ঠ, তবুও তরীকতপস্থার কঠোরতা সহ্য করতে তাঁর কষ্ট হতাে। হযরত সােহায়েল (র)-এর এ উক্তি খুবই রহস্যময়।যার মর্ম উদঘাটন করার ক্ষমতা আমাদের নেই।
তিনি যে একদিন বড় হবেন, তা বাল্যকালেই প্রকাশ পায়। তখন থেকেই তিনি ছিলেন তীক্ষ্ন বুদ্ধির অধিকারী, খুবই সচেতন ও ধর্মভীরু। একদিন মদ্রাসা থেকে তিনি বাড়ি ফিরছেন, দেখলেন তাঁর পিতা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন। এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, হযরত সাররী সাকতী (র)-কে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-এর মামা কিছু যাকাতের মাল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ না করে ফেরত দিয়েছেন। হয়তাে তিনি তাঁর মালকে হালাল বলে মনে করেননি। অথচ এগুলি সম্পূর্ণ বৈধ।
শিশু জুনায়েদ বাগদাদী (র) পিতার কাছ থেকে যাকাতের অর্থ নিয়ে সােজা চলে গেলেন মামর কাছে। মামার বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। তিনি দরজায় করাঘাত করলেন। ভেতর থেকে শব্দ এল, কে? হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) তাঁর পরিচয় দিলেন। জানালেন যাকাতের মাল নিয়ে এসেছেন। মামা বললেন, ওগুলাে তিনি রাখবেন না। হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) বললেন, মামা! কসম আল্লাহর, যিনি আপনার প্রতি অনুগ্রহ ও আব্বার প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন।
হযরত সাররী সাকতী (র) বললেন, তিনি তােমার পিতার প্রতি কী ন্যায় বিচার করেছেন এবং আমার ওপরই বা কী অনুগ্রহ করেছেন? হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) বললেন, আপনি যে ফকিরী
অর্জন করেছেন, এটি তাঁরই অনুগ্রহ আর আমার পিতাকে দুনিয়ার ধনে ধনী করে তাঁকে সংসারী করেছেন। এটিই তাঁর প্রতি ন্যায়বিচার। এখন, ইচ্ছা হলে আপনি এ মাল গ্রহণ করতে পারেন। আর না করলে আমার বলার কিছু নেই। হযরত সাররী সাকতী (র) ভাগ্নের কথায় খুবই সন্তুষ্ট হলেন এবং বললেন, যাকাত গ্রহণের আগে আমি তােমাকেই গ্রহণ করছি। এই বলে তিনি দরজা খুলে দিলেন এবং আদরের ভাগনেকেও হৃদয়ের মধ্যে স্থান দিলেন।
জুনায়েদের বয়স যখন সাত, তখন তাকে নিয়ে হযরত সাররী সাকতী (র) হজ যাত্রায়। ঐ সময় কাবাঘরে চারশাে জ্ঞানী ব্যক্তি সমবেত হন। একদিন তাদের মধ্যে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা বিষয়ে আলােচনা হয়। সবাই যে যার অভিমত প্রকাশ করেন। অবশেষে হযরত সাররী সাকতী (র) শিশু হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-কে কিছু বলতে বলেন।
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মাথা নিচু করে সবিনয়ে বলেন, অবাধ্য না হই। আর তার অবদানকে পাপের উপকরণে বা কারণে পর্যবেশিত না করি। এটাই হলাে আমাদের প্রকৃত কৃতজ্ঞতা। শিশুর কথা শুনে সবাই একবাক্যে তারিফ করে বললেন, তার কথাটাই সঠিক ও সর্বোত্তম।
হযরত সাররী সাকতী (র) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এ কোথা থেকে শিখলে? আপনার সাহচর্যে থেকেই একথা শিখেছি।
এভাবে কেটে যায় চল্লিশ বছর। তার মধ্যে ত্রিশ বছর কাটে বিচিত্রভাবে। এ দীর্ঘ সময় এশার নামাযের পর তিনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আল্লাহর ধ্যান করেছেন। আর এশার অযুতেই ফজরের নামায আদায় করেছেন। একদিন তিনি অদৃশ্য আওয়াজ শুনতে পেলেন। এখন তােমার বুত পােরস্তীর পৈতা দেখাবার সময় হয়েছে। তিনি বলেন, দয়াময়, জুনায়েদ কী পাপ করেছে বলুন। তখন আবারও শব্দ এল, এখনও তুমি নিজেকে ডুবিয়ে দাওনি। এর চেয়ে তুমি আর কী পাপ দেখতে চাও তখন একটি দীর্ঘশ্বাস টেনে লজ্জায় মাথা ঝুলিয়ে দিয়ে তিনি বললেন, আহ।
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-এর নির্জনবাসের বিরােধীতা শুরু হলাে এবার। লােকেরা খলিফার দরবারে তার বিরুদ্ধে অভিযােগ জানান। কিন্তু খলিফা বললেন, আপনি কোন নির্দিষ্ট প্রমাণ না পেলে তার প্রতি কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় না। জনগণ বলল, তাঁর কাজে ও কথায় মানুষ পৃথভ্রষ্ট হচ্ছে। খলিফা তখন গােপনে তাঁকে পরীক্ষা করার কথা ভাবলেন। তাঁর এক রূপমী বছাদী ছিল তিন হাজার দিরহাম মূল্যে তাঁকে ক্রয় করেন।
খলিফা স্বয়ং তার রূপমুগ্ধ ছিলেন। এক রাতে তিনি তাঁকে শিখিয়ে পড়িয়ে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন। সে যেন অভিনয়-ভঙ্গি করে তাকে জানায় যে, তার প্রচুর বিত্ত আছে। কিন্তু এখন সে সবের প্রতি বীতস্পৃহ।তিনি অনুগ্রহ করে তাকে যেন আশ্রয় দেন। সে হযরতের ভালােবাসায় থেকে আল্লাহর ইবাদতে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চায়।
এখন তার মন শুধু এখানেই পড়ে থাকতে চায়। খলিফা দাসীকে এও বলে দিলেন যে, সে যতক্ষণ না সম্মত হয়, ততক্ষণ সে যেন চেষ্টা চালিয়ে যায়। অর্থাৎ, সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে খলিফা টোপ হিসেবে রূপসীকে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-এর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
যথাসময়ে তাঁর কাছে দাসী তার ঘোমটা খুলল। একবার চোখ তুলতে গিয়ে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-এর দৃষ্টিও পড়ল তাঁর ওপর। আর তিনি মাথা নিচু করলেন। রূপসী যথারীতি তাঁর শেখানাে বুলি আওড়ে গেল। অভিনয়-ভঙ্গ বা বচন কুশলতার কোন ক্রটি ঘটল না।
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) তাঁর সব কথা নীরবে, নমস্তকে শুনে গেলেন। তারপর ধীরে ধীরে মাথা তুলে একবার আহ বলে চিৎকার করে উঠলেন। সে চিৎকারে কী যেন ঐশীশক্তি নিহিত ছিল। রূপসী তা সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। আর সঙ্গে সঙ্গে সব শেষ। খলিফার হুকুম তামিল করতে গিয়ে একটি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে গেল। ফলাফল কী হয় জানার জন্য খলিফা এক ভৃত্যকেও তার পেছনে পাঠান। সে ফিরে এসে খলিফাকে সবকিছু নিবেদন করে।
আর অনুতাপে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল খলিফার মন। কাজটা যে ভালাে হয়নি, তা উপলব্ধি করে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে সাথে সাথে চলে এলেন হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-এর কাছে। তার অমাত্যবর্গ বলল হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) দরবারে না গিয়ে বরং তাঁকেই দরবারে তলব করা হােক। কিন্তু খলিফা আর দ্বিতীয়বার ভুল না করে তার কাছেই এলেন। বিনীত কণ্ঠে বললেন, হুজুর, আপনি এমন সােনার প্রতিমাকে পুড়িয়ে দিলেন কেন? আপনার প্রাণে কি দয়ামায়া নেই?
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) বললেন, আপনি জনগণের রক্ষক। অথচ আপনি চাইলেন একটি মানুষের দীর্ঘ চল্লিশ বছরের বিনিদ্র, পরিশ্রম-সুকঠিন সাধনা সামান্য একটি নারী বরবাদ করে দিক। এটা কী করে সম্ভব? যাই হােক, আশা করি ভবিষ্যতে আর কখনও এ ধরনের বিভ্রান্তির শিকার হবেন না। হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রা)-এর মর্যাদা উত্তরােত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকল। সুনাম ছড়িয়ে গেল মুসলিম দুনিয়ায়।
বিখ্যাত মনীষী হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাঃ) এর ইন্তেকালঃ অন্তিম মুর্হত ঘনিয়ে এলে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) তাঁর শিষ্যগণকে বললেন, আমাকে অজু করিয়ে দাও। শিষ্যগণ ওই বানিয়ে দিলেন।কিন্তু ভূলবশত তাঁর আঙুল খিলাল করানাে বাকি থেকে গেল। তিনিই তা মনে করিয়ে দিলেন। আর তা করা হল। তারপর তিনি সেজদার গিয়ে অঝােয় ধারায় কাঁদতে লাগলেন। শিয্যেরা বললেন, সারা জীবন এত নামাজ, এত সিজদা করলেন।
এখন শেষ মুহঁতে সেই সিজদা! এখনও কি সিজদার সময় আছে? তিনি বললেন, এ সময়ের মতাে এত অধিক মুখাপেক্ষী তিনি আর কখনও হননি। অতঃপর তিনি কুরআন পাঠ করতে শুরু করলেন। শিষ্যরা বললেন, এখন আপনি কুরআন পাঠ করতে শুরু করলেন? হযরত বললেন বললেন, এ সময় থেকে উত্তম আমার জন্য আর কী হতে পারে? সময় বড় সংকীর্ণ। আর কয়েক মুহতে পরেই আমলনামা গুটিয়ে ফেলা হবে।
আমি চোখের সামনে দেখছি, আমার সত্তর বছরে উপাসনাসমূহ শূন্যে ফুলের মতাে সূক্ষ্ম সুতোয় ঝুলছে। প্রবল বাতাসে তা দুলছে আমি বলতে পারি না, ঐ প্রবল বায়ু কি? সে আমার মিলন ঘটাবে, নাকি বিচ্ছেদ? একদিকে দেখছি পুলসিরাত। অন্যদিকে, অপেক্ষমান মালাকুল মওত। কাজীকেও দেখতে পাচ্ছি-যার গুণ সুবিচার করা। তিনি তো আমার দিকে ফিরেও দেখছেন না। সামনে রয়েছে অনেকগুলি পথ। জানি না, কোন পথে আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে।
এ সময় তার অবস্থা সংকটজনক হয়ে উঠল। তিনি অত্যন্ত বিচলিত হয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় পৌঁছেলেন। আর এ সময় পাক কুরআনের সত্তর আয়াত তেলায়াত করলেন। সবাই বললেন, আল্লাহ আল্লাহ বলুন । তিনি বললেন, আমাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে না। আমার বন্ধুকে আমি ভুলিনি। অতঃপর তিনি আঙুলের গণনা করে সুবহানাল্লাহ তাসবীহ পাঠ করতে লাগলেন। পড়তে পড়তে তর্জনি আঙুল পৌছে তা ওপরের দিকে তুলে ধরে বললেন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
সঙ্গে সঙ্গে দুচোখ বুজলেন। আর এভাবেই তিনি মিলিত হলেন তার পরম প্রিয় বন্ধুর চোখ থেকে তােমাদের হাত দূরে রাখ। কেননা, আমার নাম জপ করতে করতে ঐ চোখ দুটি বন্ধ হয়েছে। আমার দর্শন ছাড়া তা আর উন্নিলিত হবে না। অতঃপর গােসলদাতাগণ তাঁর বাঁকা আঙুল সােজা করার চেষ্টা করলেন। পারলেন না। আবার বেজে উঠল অদৃশ্য কণ্ঠ: আমার নামের তাসবীহ পড়তে পড়তে যা বাঁকা হয়েছে, তা আমার নির্দেশ ছাড়া সােজা হবে না।
জানাযার সময় একটি সাদা পায়রা এসে পাশে বসে গেল । তাকে তাড়ানাের বহু চেষ্টা করাও হল। কিন্তু তাড়ানাে গেল না। বরং সে বলল, আমাকে কষ্ট দিও না, নিজেরাও বৃথা কষ্ট করাে না। কেননা, আমার নিম্নাঙ্গ প্রেমের পেরেক দ্বারা খাটের সঙ্গে আবদ্ধ। তােমাদের এ জানাযা ওঠাবার চেষ্টা করতে হবে না। কেননা, হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-এর লাশ এখন ফেরেশতাগণের হেফাজতে এসে গেছে। এখন যা করতে হয়, তাঁরাই করবেন। শুনে নাও, তােমরা এখানে ভিড় না করলে এ লাশ এতক্ষণ সাদা বাজপাখির আকারে আকাশে উড়ে যেত।
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-এর মৃত্যুর পর এক ব্যক্তি তাকে স্বপ্নযােগে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি মুনকির নকিরের প্রশ্নের কী জবাব দিলেন হুজুর? তিনি বললেন, তাঁরা এসে যখন আমাকে প্রশ্ন করলেন, আপনার প্রভু কে? আমি বললাম, যখন আমার প্রভু দ্বয়ং প্রশ্ন করেছিলেন, আমি কি তােমাদের প্রভু নই? তখনই তাে উত্তর দিয়েছিলাম, হ্যাঁ, এখন আপনারা আবার এসেছেন এ প্রশ্ন করতে যে, আপনার প্রভু কে?
যে ব্যক্তি স্বয়ং বাদশাহর প্রশ্নের জবাব দিয়েছে, তাঁর ভৃত্যদের প্রশ্নের জবাব দিতে তার আবার ভয়ের কী আছে? তবে আপনারা যখন এসেছেন এবং আমার নিকট প্রশ্ন রেখেছেন তখন তার উত্তর আমি আমার প্রভুর ভাষাতেই দিই-আমার প্রভু তিনি, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। পরে তিনিই আমাকে জীবন পথের সন্ধান দিয়েছেন।
ফেরেশতাগণ তার উত্তর শুনে সসম্মানে উঠে দাঁড়েলেন। তারপর পরস্পর এই কথা বলতে বলতে বেরিয়ে গেলেন যে, ইনি দেখছি এখনও প্রেমে বিভাের হয়ে রয়েছেন।
হযরত হারীরী (র) তাঁকে স্বপ্নযােগে জিজ্ঞেস করেন, আল্লাহ আপনার সঙ্গে কিরূপ ব্যবহার করলেন? তিনি বললেন, আল্লাহ আমার ওপর রহমত করেছেন এবং আমাকে মাফ করে দিয়েছেন আর মধ্য রাতে আমার যে দু'রাকায়াত নামাজ পড়ার অভ্যাস ছিল, তাছাড়া অন্য কিছুতে আমার তেমন ফায়দা হয়।
আরও পড়ুনঃ
* হযরত ইউসুফ ইবনে হুসায়েন রায়ী (রাঃ) জীবনী
0 মন্তব্যসমূহ