নতুন পোস্ট

6/recent/ticker-posts

হযরত আবু আলী শাকীক বলখী (রঃ) এর জীবনী বাংলা

 
হযরত আবু আলী শাকীক বলখী (রঃ)

হযরত আবু আলী শাকীক বলখী (র)

তুরস্কের এক বিরাট মন্দির। মন্দিরে পাথরের প্রতিমা। মানুষ এ প্রতিমার উপাসনা করে। বলখ দেশের এক বণিক এসেছেন মন্দির দেখতে। বাণিজ্য উপলক্ষে তিনি তুরস্কে এসেছেন। কোথায় কী আছে, ঘুরে-ফিরে দেখছেন। মন্দিরে এসে দেখলেন, এক পূজারী নতজানু হয়ে সাশ্রুনয়নে পাথর প্রতিমার পূজা করছেন।

বণিক চুপ করে থাকতে না পেরে তাকে বলেই ফেললেন, আপনার সৃষ্টিকর্তা অসীম শক্তির আধার। চিরঞ্জীব । অথচ তাঁকে ফেলে আপনি কি না প্রতিমার পূজা করছেন? যে জড় পদার্থের প্রাণ নেই, জ্ঞান নেই, কোন কিছু করার শক্তি নেই। স্রষ্টার সেরা সৃষ্টি মানুষ হয়ে আপনি অনুভূতিহীন-আপনার লজ্জা হয় না?

পূজারী বললেন, মেনে নিলাম আমার এ দেবতার কোন শক্তি নেই। কিন্তু আপনার আল্লাহরই বা কী ক্ষমতা আছে শুনি? তা যদি থাকত, তাহলে রুজি-রােজগারের জন্য আপনাকে বলখ ছেড়ে তুরস্কে আসতে হতাে না। সেখানেই রুজির ব্যবস্থা করতে পারতেন?

পুরােহিতের কথায় বণিকের চোখ খুলে যায়। তাই তাে! তিনি কোন অন্যায় বলেননি। সেদিনই তিনি তুরস্ক ত্যাগ করলেন। পথে দেখা হলো এক অগ্নি-উপাসকের সঙ্গে। তাঁকেও তিনি কিছু কথা শুনিয়ে দিলেন। অগ্নিপূজক বললেন, তুমি কী কাজ কর? তিনি বললেন, ব্যবসা-বাণিজ্য। তাহলে তুমিও তাে স্বার্থের পেছনে দৌড়াচ্ছ। তােমার যা ভাগ্যে আছে, তুমি তা পাবেই। তােমার কি এ বিশ্বাস নেই? 

একথা শুনে বণিক আরও সচেতন হলেন। মনে শুরু হলাে চিন্তা-ভাবনার গভীর আলােড়ন। আর পার্থিব বিষয়-বাসনা সম্পূর্ণ দূর হয়ে গেল তার মন থেকে বণিক বৃত্তি ত্যাগ করে তিনি বলখে ফিরে এলেন।

তখন বলখের আমীর ছিলেন আলী ইবনে ঈসা। ঘটনাক্রমে তাঁর পােষা কুকুরটি চুরি যায়। আর চোর সন্দেহে আলীর অনুচরেরা অকথ্য অত্যাচার শুরু করে তথাকথিত বণিকের এক পড়শীর ওপর। আর তিনি তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এলেন। যেভাবে হােক, আমীরের কুকুর তিনি বের করে দেবেন। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেচারাকে তিনি উদ্ধার করলেন। তারপর হাত ওঠালেন আল্লাহর দরবারে। দয়াময়! কুকুরের সন্ধান দিন। না হলে আমারও মুখরক্ষা হবে না। 

আমার প্রতিবেশীকেও অযথা জুলুম সহ্য করতে হবে। তবে মুখরক্ষা নিয়ে আমার তেমন ভাবনা নেই। আমি ভাবছি নির্দোষ প্রতিবেশীর কথা। দয়া করে ঐ দুর্বল দাসকে বিপদ মুক্ত করুন। আল্লাহ এ প্রার্থনা মঞ্জর করলেন। কুকুর-চোর নিজে এসে বণিকের কাছে সেটি দিয়ে গেল। আর তিনি প্রসন্ন চিত্রে তা পৌছে দিলেন আমীরের কাছে। আল্লাহর অনির্বচনীয় মহিমায় তিনি পরিপূর্ণ রূপে এক আত্মনিবেদিত দাসে পরিণত হলেন।

এই মহিমান্বিত মানুষটির নাম হলাে হযরত আবু আলী শাকীক বলখী (র)। বলখের এক মহান সাধক, বহু ধর্মগ্রন্থের রচয়িতা। আল্লাহর প্রতি অন্তহীন নির্ভরতা ছিল তার একটি বিশিষ্ট গুণ। বহু জ্ঞান-তাপসের কাছ থেকে তিনি মারেফাত বিদ্যা লাভ করেন। তিনি নিজেই বলেছেন, এক হাজার সাতশাে জন পীরের কাছ থেকে বিদ্যার্জন করেন। তার নিজের শিষ্য সংখ্যা ও নেহাত কম ছিল না। তাদের অন্যতম হলেন সমকালে বিখ্যাত জ্ঞান-সাধক হযরত হাতেম ইবনে আসাম (র)। তরীকত ও হাকীকত শাস্ত্রে তার শিক্ষাগুরু ছিলেন হযরত ইব্রাহিম আদহাম (র)। প্রসঙ্গক্রমে তিনি মন্তব্য করেন, বহু মাশায়েখের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেছি, প্রচুর পুস্তকও অধ্যয়ন করেছি। যথা :

১. রুজির ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা।

২. যে কোন কাজের মধ্যে সরলতা বজায় রাখা।

৩. শয়তানের সাথে শত্রুতা রাখা।

৪, মৃত্যুর জন্য পাথেয় সগ্রহ করা।

আল্লাহর প্রতি তার অপরিসীম নির্ভরতার কথা আগেই বলা হয়েছে। তিনি এই নির্ভরতার শিক্ষা পান সামান্য একটি ভূতের কাছ থেকে। একবার বলখে ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। দুর্ভক্ষপীড়িত মানুষ যখন দিশেহারা, তখন দেখা যায় একটি ত্য দিব্যি আমােদ আহলাদ মত্ত। হযরত শাকীক বলখী (র) তাকে বলেন, দেশ ধ্বংস হতে চলেছে, আর তুমি আনন্দে মাতােয়ারা, তােমার কি কোন চিন্তা-ভাবনা নেই? সে বলে, আমার মনিবের গােলাভরা শস্য। 

আমার আবার ভাবনা কি? এ কথায় তাঁর টনক নড়ে। সামান্য একজন ভূতা যদি তার মনিবের ওপর এতখানি নির্ভরশীল হতে পারে, তাহলে সর্বশক্তির আধার যিনি, বিশ্বজগতের একচ্ছত্র অধিপতি সেই আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ন্যস্ত না করে থাকা যায়? ভুত্যের কথায় আল্লাহর দরবারে তিনি নির্ভরশীলতার মােনাজাত করলেন।

তাঁর এ আল্লাহ-নির্ভরতার একটি উদাহরণ দিয়েছেন তাঁর শিষ্য হযরত হাতেম ইবনে আসাম (র)। একবার এক জেহাদে দুজনেই অংশ গ্রহণ করেন। প্রচণ্ড লড়াই চলছে। দুপক্ষের নিক্ষিপ্ত শরে আকাশ আচ্ছন্ন। হঠাৎ তিনি হাতেম ইবনে আসাদ (র)-কে বলেন, এ পরিস্থিতিতে তুমি নিজের অবস্থা কিরূপ মনে করছ। মনে হয়, তুমি গত রাতের স্ত্রীর সঙ্গে সুখ-শয়নের কথা ভাবছ। কথাটি বলেই তিনি তার খিরকাটি বালিশের মতাে করে তাঁর ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লেন বণভূমিতে। আল্লাহর প্রতি চরম নির্ভরতা না থাকলে এটি সম্ভব হতো না। সে নির্ভরতা ছিল বলেই তাঁরও কোন বিপদ ঘটল না।

এক মজলিসে তিনি ভাষণ দিচ্ছেন। হঠাৎ শহরে ভীষণ শােরগােল। শক কর্তৃক শহর আক্রান্ত । হযরত শাকীক বলখী (র) সাথে সাথে মযলিস থেকে বেরিয়ে এলেন। আর বাতেনী শক্তি দিয়ে যুদ্ধ করে শত্রুদের প্রতিহত করলেন। ঠিক এই সময় তাঁর এক শিষ্য তাঁর হাতে এনে দিলেন একটি সুগন্ধী ফুল। আর তিনি তার ঘ্রাণ নিতে লাগলেন। এ দৃশ্য দেখে কেউ বলে ওঠেন, বা রে কাণ্ড


মুসলমানের শত্রু হানা দিয়েছে শহরে, আর মুসলমানের ইমাম ফুলের সুবাস গ্রহণে মসগুল। হযরত শাকীক বলখী (র) বললেন, তা ঠিক। যারা মােনাফেক, তারা ফুলের সুবাস নেওয়াই দেখতো, কিন্তু শত্রুর পরাজয়ের খবর রাখে না। একদিন ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, তােমরা যদি মৃতের মতাে হও, তাহলে কবরস্থানে চলে যাও। আর যদি পাগল হয়ে থাক, তাহলে পাগলাগারদে যাও। যদি কাফের হয়ে থাক, তাহলে দারুল হরবে বাস কর। আর যদি বিশ্বাসী বান্দা হও, তবে আল্লাহর পথ অবলম্বন কর।

খলিফা হারুন অর রশিদকে উপদেশদেনঃ  একবার হজ্জ যাত্রার সময় তিনি বাগদাদে আসেন। বাগদাদের খলিফা তখন হারুন রশীদ। তাঁর আগমনবার্তা পেয়ে তিনি পরিপূর্ণ ভক্তি ও বিনয় সহকারে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এবং তার কাছে কিছু মূল্যবান উপদেশ প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, আপনি মনে করেন, আপনি খােলাফায়ে রাশেদীনের উত্তরাধিকারী। আল্লাহ পাক আপনার বিবেক, সততা ও ইনসাফ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। 

আল্লাহ আপনাকে তরবারি, বেত্রদণ্ড ও ধন-সম্পদ এজন্য দিয়েছেন যে, আপনি ধন-সম্পদ দ্বারা দীন-দুঃখীদের সাহায্য করবেন। শরীয়তের বিধান যারা মানেনা, বেত্র দণ্ডের দ্বারা তাদের পথে আনবেন। যারা অস্ত্র দিয়ে অন্যায়ভাবে এ রাজ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটায়, অস্ত্রের দ্বারা সে ঘাতকের শিরচ্ছেদ করবেন। 

আপনি যদি এ দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে রােজ কিয়ামতে আপনাকে জাহান্নামীদের নেতা বানিয়ে দেয়া হবে। আপনার উপমা সমুদ্র। আর আপনার অমাত্যবর্গ ও রাজকর্মচারীরা হলেন তা থেকে বহিগর্ত শাখানদী। অতএব ন্যায়নিষ্ঠ শাসনই আপনার অবশ্য কর্তব্য। যাতে আপনার কর্মচারীরাও ন্যায়ানুবর্তী হয়। 

তারপর তিনি খলিফা হারুন রশীদকে জিজ্ঞেস করলেন, মনে করুন, আপনি রয়েছেন ধু ধু এক মরুর তাপদগ্ধ মধ্যাহ্নে, পিপাসার্ত হয়ে ছটফট করছেন, অথচ কোথাও এক ফোটা পানি নেই। তখন যদি কেউ এসে আপনাকে বলে, আপনার অর্ধেক রাজত্ব লিখে দিলে এক গ্লাস পানি দিতে পারি, তখন প্রাণ রক্ষার তাগিদে আপনি কি তা দিতে রাজি হবেন? খলিফা বললেন, নিশ্চয়ই। 

তখন আবার প্রশ্ন: ঐ পানি পান করার পর আপনার প্রস্রাব যদি বন্ধ হয়ে যায়, প্রবল বেগ থাকা সত্ত্বেও প্রস্রাব যদি নির্গত না হয়, তখন এ ক্লেশ দূর করে দেয়ার বিনিময়ে যদি কোন চিকিৎসক বলেন যে, আপনার রাজ্যের বাকি অর্ধাংশ দিতে হবে, তখন কি আপনি রাজি হবেন? 

খলিফা আবারও উত্তর দিলেন, নিশ্চয়। কেননা, ধন-মান-রাজ্য সবকিছুর চেয়ে প্রাণের মূল্য অনেক বেশি। হযরত শাকীক বলখী (র) এবার বললেন, তাহলেই বুঝুন, রাজ্য, সম্পদ পানির মূল্যে বিক্রি হয়ে যায় । তা কিছুতেই গৌরবের বস্তু নয়। তাঁর এ কথা শুনে খলিফা হারুন রশীদ অনেকক্ষণ ধরে কাঁদলেন। তারপর তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ধীরে ধীরে চলে গেলেন। 

সেখানে তাঁকে ঘিরে অসংখ্য মানুষের ভিড়। তিনি তাদের বলেন, এখানে রুজির সন্ধান করা নির্বুদ্ধিতা। মক্কায় তখন অবস্থান করছেন হযরত ইব্রাহিম আদহাম (র)। হযরত আবু আলী শাকীক বলখী (র) তাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি এখানে জীবিকার ব্যাপারে কী করেন? তিনি উত্তর দেন, খাবার পেলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। না পেলে ধৈর্য ধারণ করি।

একথা শুনে হযরত আবু আলী শাকীক বলখী (র) বললেন, কুকুরগুলির অবস্থাও অনুরূপ। খাবার পেলে তারা লেজ নেড়ে কৃতজ্ঞতা জানায় না। পেলে ধৈর্য ধারণ করে। এবার প্রশ্ন করলেন, হযরত আদহাম (র), এ ব্যাপারে আপনি কি করেন? তিনি জবাব দিলেন, আমার হাতে কিছু এলে তা দান করে দিই। আর না এলে ধৈর্য ধারণ করি।

তার উত্তর শুনে হযরত ইব্রাহিম (র) সয়েহে তার মাথায় চুমু দিয়ে বললেন, আপনি আমার গুরু। মক্কা থেকে তিনি আবার ফিরলেন বাগদাদে। বাগদাদের এক জনসভায় প্রসঙ্গক্রমে তিনি বললেন, আমার এ বিদেশে যাত্রায় আমি চার দাং (চব্বিশ রতি) রূপা রেখেছিলাম। তা এখনও আমার কাছে আছে। একথা শুনে এক তরুণ বললে, হুজুর আপনি যখন আপনার সঙ্গে ঐ রূপা নেন, তখন কি আল্লাহ ছিলেন না? না, তাঁর ওপর আপনার আস্থা ছিল না? তরুণের কথা শুনে তিনি বিমর্ষ হলেন। বললেন, তুমি ঠিকই বলেছ। বলেই বক্ততা মঞ্চ থেকে নেমে এলেন।

এক বৃদ্ধ এসে একদিন বললেন, আমি বহু পাপ করেছি। আমাকে তওবা করিয়ে দিন। তিনি বললেন, আপনি বড় দেরি করে ফেলেছেন। আগে এলেন না কেন? বৃদ্ধ বললেন, না। আমি তাড়াতাড়িই এসেছি। মৃত্যুর আগে যে তওবা করতে আসে, সে কি তাড়াতাড়ি এল না? বৃদ্ধের কথা বেশ অর্থবহ ও যুক্তিপূর্ণ। হযরত আবু আলী শাকীক বলখী (র) বললেন, হ্যাঁ, আপনি তাড়াতাড়ি এসেছেন। আর সত্য কথাই বলেছেন। 

হযরত আবু আলী শাকীক বলখী (র)-এর উপদেশঃ 

১. তিনি বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম কেউ বলছে, যে ব্যক্তি রুজির ব্যাপারে আল্লাহর ওপর নির্ভর করে, তার স্বভাব উত্তম হয়। উপাসনায় তাঁর প্রেরণা আসে।

২. বিপন্ন হয়ে চিৎকার করে যে অস্থির হয়, সে যেন তীর-ধনুক নিয়ে আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে প্রবৃ্ত হয়।

৩. উপাসনার আসল বস্তু হলাে আল্লাহকে ভয় করা। তাঁর রহমতের আশা করা ও তাঁর ওপর বিশ্বাস বজায় রাখা। 

৪, যার সঙ্গে তিনটি বস্তু নেই, সে জাহান্নাম থেকে রেহাই পাবে না। সেগুলি হলাে (১) শাস্তি, (২) ভয়, (৩) ব্যাকুলতা।

৫. তিনটি বস্তু সাধাকগণের সাথী। (১)মনের স্বাধীনতা, (২), হিসাব-নিকাশে অপরিপক্কতা ও (৩) হৃদয়ের প্রশান্তি বা সুখ। 

৬, মৃত্যুর জন্যে সদা-সর্বদা প্রস্তুত থাকা চাই। কেননা, মৃত্যু হাজির হবেই। আর তা হাজির। হলে কখনও ফিরে যাবে না।

৭. মানুষের ধর্মনিষ্ঠা তিনটি বস্তু দ্বারা পরীক্ষা করা যায়। যেমন, (১) ধর্মীয় আদেশ ও নিষেধ দ্বারা, (২) ধর্মীয় ও বৈষয়িক কথাবার্তা দ্বারা,(৩) ধর্মের সঙ্গে বেশি সম্পর্ক না, দুনিয়ার সঙ্গে-তার দ্বারা ।

৮, প্রায় সাতশাে পণ্ডিতের কাছে প্রশ্ন করে দেখেছি যে, (১) জ্ঞানী কে? (২) ধনী কে? (৩) দরবেশ কে? ও (৪) কূপন কে?।

তাঁরা একই জবাব দিয়েছে। (১) যে ব্যক্তি দুনিয়ার সঙ্গে প্রেম করে না, দুনিয়াদারীর লােভে পড়ে না, প্রতারিত হয়, সে-ই জ্ঞানী। (২) যে আল্লাহর ভাগ-বাঁটোয়ারায় খুশি, সেই ধনী। (৩) যার অন্তরে বেশি ধন লাভের আকাক্ষা নেই, সে-ই দরবেশ। (৪) যে আল্লাহ প্রদত্ত মালপত্রের হক আদায় করে না, সে-ই কৃপন।

আরও পড়ুনঃ  

* হযরত ইমাম  আহমদ ইবনে হাম্বল (রাঃ) জীবনী

হযরত হাতেম আসাম (রাঃ) জীবনী

* হযরত শায়খ আবু বকর কেতানী (রাঃ) জীবনী

* হযরত আবু হাসান নূরী বাগদাদী (রাঃ) জীবনী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ