বিখ্যাত মনীষী হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র)
তিনি অন্ধকারে বসে যখন কথা বলতেন, তখন তাঁর মুখনিঃসৃত প্রতিটি শব্দের সঙ্গে আলাে বিচ্ছুরিত হতাে। আর সে আলােয় অন্ধকার মধ্যে আলােকোজ্জ্বল। এজন্য তাকে নূরী উপাধি দেওয়া হয়। বনের মধ্যে তার একটি ক্ষুদ্র সাধনালয় ছিল। সেখানে কোন আলাের ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু ঐ ঘরে পদার্পন করা মাত্র আলােয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠত।
তিনি দারিদ্র ও সাধকেত্বের চেয়ে ত্যাগ ও উৎসর্গের ওপর খুব বেশি গুরুত্ব দিতেন। প্রথমে পরের উপকার কর, পরে নিজের-এ ছিল তাঁর শিক্ষানীতি। তিনি বলতেন, সাধক দরবেশের সঙ্গ ও শিক্ষা-গ্রহণ করা ফরজ। নির্জনবাস তার খুব একটা পছন্দ ছিল না। তাঁর মতাে উপাসনানিষ্ঠ আর কেউ নেই বলে একবার আবু আহমদ মাগবেরী মন্তব্য করেন। হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) এর নামােল্লেখ করলে তিনি বলেন, হ্যা, তিনিও নন।
হযরত আবুল হাসান নুরী বাগদাদী (র) প্রথম জীবনে ব্যবসা করতেন। তাঁর একটি দোকান ছিল। বাড়ি থেকে তিনি নিয়মিত খাবার নিয়ে যেতেন দোকানে। কিন্তু নিজে না খেয়ে পথেই তা বিলিয়ে দিতেন। অথচ, তার দোকান ছিল প্রায় বিশ বছর। আর তার বাড়ির কেউ জানতেন না যে, নিজে খাবার না খেয়ে তিনি সবকিছু দান করে দেন।
একবার তিনি বলেন, তাঁর কয়েক বছরের সব সাধনা ব্যর্থ হয়ে যায়। মহান নবীগণের উপদেশাবলি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে গিয়ে তার মনে হয়, তার সাধনার মধ্যে হয়তাে অহমিকার ছোঁয়া লেগেছে। পরে তিনি নিশ্চিত হন যে, সত্যিই তার আত্মা রিপু কবলিত। অবশেষে তিনি রিপুর বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগলেন। আর তখন থেকে কিছু কিছু গূঢ়তত্ত্ব প্রস্ফুটিত হতে থাকে। রিপুর কোন ইচ্ছাই আর পূর্ণ হয় না।
তারপর তিনি দজলা নদীতে মাছ ধরার ফাঁদ পেতে আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন, যতক্ষণ না ফাঁদে মাছ পড়ছে, তিনি ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন। আল্লাহ তার আবেদনে সাড়া দিলেন। প্রচুর মাছ আটকা পড়ল। আর এ বৃত্তান্তটি পেশ করলেন হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-এর দরবারে । হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) বললেন, মাছের বদলে সাপ ধরলে নিশ্চয়ই তাকে অলৌকিক কাণ্ড বলা যেত। তুমি এখন তরীকতের মধ্যম মঞ্জিল। অতত্রব এটিকে অলৌকিক না বলে প্রতারণা বলতে হবে।
তিনি তখন খ্যাতির তরঙ্গে। সে সময় বাগদাদের এক তরুণ তরীকতপন্থীদের পেছনে লাগল। এদের বিরুদ্ধে নালিশ জানাল রাজ-দরবারে। তার অভিযােগ ছিল, এরা গান গায়, নাচে, বাজে বাজে কথা বলে। এদের গান ও গজলের ভাষায় ধর্মশূন্যতার পরিচয় প্রকাশ পায়। অতএব নিঃসন্দেহে এরা কাফের, মুশরিক। এদের প্রাণদণ্ড দেয়া হলে তা হবে একটি পূন্য কর্ম। আল্লাহ তার পুরস্কার দেবেন।
খলিফা তাঁদের-যথা হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র), হযরত আবু হামরা, হযরত রােকাম (র), হযরত শিবলী (র), হযরত হাসান নূরী বাগদাদী (র) প্রমুখকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দিলেন, আদেশ পালিত হল। সবাকে হাজির করা হল দরবারে। আর খলিফা তাদের প্রাণদগু দিলেন।
বধ্যমঞ্চে প্রথমে আনা হল হযরত রােকাম (র)-কে। কিন্তু হযরত হাসান নূরী বাগদাদী (র) তাকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই দাড়িয়ে গেলেন বধ্যমঞ্চে। সবাই তাজ্জব। জল্লদ কর্কশ কন্ঠে বলল, তরবারি খুব প্রিয় জিনিস নয়, তার তলায় আসার জন্য এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছ। তােমার পালা এখনও আসেনি। তুমি সরে যাও। সময় হলে ঘাড় পেতে দিও।
হযরত হাসান নূরী বাগদাদী (র) বললেন, আমাদের রীতি হল নিজের স্বার্থ বিসর্জন দেয়া প্রয়ােজনে প্রাণও উৎসর্গ করা। পৃথিবীতে প্রাণই সবচেয়ে প্রিয় জিনিস। তাই নিজের প্রাণ দিয়ে যদি অন্যের প্রিয়বস্তুকে কিছুক্ষণের জন্য রক্ষা করা যায়, তাহলে আমরা পিছিয়ে না গিয়ে এগিয়ে যাই। এজন্য আমি আমার তরীকতের বন্ধুর স্থলে উপনীত হয়েছি।
খলিফা গভীর মনােযােগ সহকারে কথাগুলি শুনলেন। তারপর কী যে হল, ঘাতককে বিরত হতে বললেন। আরও জানালেন, কাজীর দ্বারা নতুনভাবে এদের বিচার করাতে হবে। অত্রব বিচার উঠল কাজীর আদালতে। কাজী ব্যক্তিগত ভাবে এদের প্রতি খারাপ ধারণা পােষণ করতেন না। বিশেষ করে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র)-কে তিনি মহাজ্ঞানী বলে জানতেন। হযরত আবুল হাসান নুরী বাগদাদী (র)-সম্পর্কেও তিনি অবহিত ছিলেন। তবুও পরীক্ষা করার জন্য তিনি হযরত শিবলী (র)-কে বললেন, বলুন তাে, সাড়ে বিশ দীনারের জাকাত কত দিতে হবে। হযরত শিবলী (র)-এর চটপট উত্তর; সাড়ে বিশ দীনার কার কাছে শিখেছেন।
হযরত শিবলী (র) বললেন, হযরত আবুবকর (র) শিখিয়েছেন। তাঁর কাছে চল্লিশ দীনার ছিল। তিনি সবই দান করেন। একটি নিজের জন্য রাখেননি। কাজী বললেন, সে হিসেবে তাহলে তাে বিশ দীনার জাকাত হতে পারে। আরও আধ দীনার দিতে হবে কেন? হযরত শিবলী (র) বললেন, ওটা দিতে হবে জরিমানা স্বরূপ। বিশ দীনার জমা করে রাখা হল কেন?
এর পর কাজী হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র)-কেও একটি প্রশ্ন করলেন। আর তার উত্তরও পেয়ে গেলেন, সাথে সাথে। বলা বাহুল্য, কাজী এবার লজ্জিত হলেন। এবার কাজীকে প্রশ্ন করলেন। হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র)। আপনি এসব কি জিজ্ঞেস করলেন? শুনুন, দুনিয়াতে এমনও আল্লাহর দাস রয়েছেন, যারা আল্লাহর ভয়েই ভীত। যাদের জীবন-মরণ, নিদ্রা- জাগরণ সবই আল্লাহতেই। আল্লাহ দর্শন থেকে মুহূর্তের জন্যও বঞ্চিত হলে তাঁরা মৃতবৎ হয়ে যান।
তারা আল্লাহর কাছেই শুয়ে থাকেন। তাঁর দ্বারাই পানাহার করেন। কোন কিছুর প্রয়াজন হলে আল্লাহর কাছেই চান। এগুলিই হল প্রকৃত জ্ঞান ও বিদ্যা। আপনি যা জিজ্ঞেস করলেন, তা কোন আনের বিষয় নয়। কাজী এ কথা শুনে দিশেহারা হয়ে গেলেন। অতঃপর তিনি খলিফাকে জানিয়ে দিলেন, এসব লােক যদি বিধর্মী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাকে বলতে হয়, দুনিয়াতে একজনও তওহীদবাদী নেই।
কাজীর কথা শুনে খলিফা দরবেশগণকে আবার দরবারে ডাকলেন। এবার যথােপযুক্ত সমান প্রদর্শন করে বললেন, আপনাদের কিছু কাম্য থাকলে আমাকে বলুন। তারা সবাই বললেন, আমাদের অন্তরে গ্রহণ না করে পৃথক করে দেয়াই আমাদের জন্য উত্তম। খলিফা এ ধরনের উত্তর শুনে খুবই অনুতপ্ত হলেন। কাঁদলেনও। তারপর সসম্মানে তাদের বিদায় জানালেন।
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) বললেন, তিনি ফানার স্তরে (বেহুশ অবস্থায়) নেই, বরং এর দ্বারা তার চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়। কেননা, অচৈতন্য হয়ে আছেন। এ অবস্থায় তিনি নিশ্চেতনায় ডুবে থাকলেও আল্লাহ তার প্রতি দৃষ্টি রাখেন। যাতে করনীয় কর্তব্য থেকে তাঁর বিচ্যুতি না ঘটে। অতঃপর তিনি তাঁর কাছে এসে বললেন, যদি জানতাম যে চিৎকার করে লাভ হয় , তবে আমি তাই করতাম। আপনি চুপ থেকে খুশি থাকুন। হযরত আবুল হাসান নুরী বাগদাদী (র) নীরব হলেন। বললেন, আপনিই আমার উত্তম শিক্ষক।
একবার কাবাঘর তওয়াফ কালে তিনি প্রার্থনা করেন, তাঁর গুন-বৈশিষ্ট্যের যেন কোন পরিবর্তন না হয়। তখন অদৃশ্যবাণী উচিত হয় এই মর্মে যে, একমাত্র আল্লাহর গুণ-বৈশিষ্ট্যের কোন পরিবর্তন হয় না। সেটি তাঁর নিজস্ব বিশেষ ব্যাপার। কিন্তু দাসতের তা হয়। না হলে তাদের দাসত্ব কিংবা আল্লাহর প্রভুত্ব প্রকাশিত হয় না। তিনি কি আল্লাহর তুল্য হতে চান?
হযরত জাফর (র) হযরত আকুল হাসান নুরী বাগদাদী (র)-কে একবার মােনাজাত করতে শােনেন। তিনি বলেন, দয়াময়, আপনি আপনার তৈৗরি দাসকে জাহান্নামের আগুনে দিতে চান? আপনার মধ্যে তাে এমনও শক্তি আছে, যার দ্বারা আপনি আমাকে দিয়ে জাহান্নামের উদর পূর্তি করে সমস্ত জাহান্নামীদের জান্নাতে পাঠাতে পারেন। হযরত জাফর (র) বলেন, ঐ রাতেই তিনি স্বপ্ন দেখেন কে যেন বলছেন, হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র)-কে আমার পক্ষ থেকে এই সংবাদ শুনিয়ে দাও, সৃষ্টির প্রতি তার কারণে আমি তাকে একগাছি সম্পর্নকূপে ক্ষমা করে দিলাম।
হযরত শিবলী (র) বলেন, তিনি একবার হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র)-কে এমন গভীর ধ্যনে নিমগ্ন দেখেন যে, তাঁর একগাছি চুলও নড়ছিল না। এমন ধ্যানমগ্নতা তিনি কোথা থেকে শিখলেন, এ প্রশ্নের উত্তরে হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র) বলেন, তিনি তা শিখেছেন বেড়ালের কাছ থেকে। কেননা, বেড়াল ইদুর ধরার জন্য এমন নিশ্চুপভাবে ওৎ পেতে থাকে যে, কেউ তা এতটুকুও টের পায় না।
একবার তিনি নিজের কাপড় যথাস্থানে রেখে স্নান করছিলেন। একজন কেউ তাঁর কাপড়খানি নিয়ে চলে গেল। কিন্তু হঠাৎ তার দুম্বখানা হাত অবশ হয়ে গেল। পরে সে কাপড় ফিরিয়ে আনলে তিনি মােনজাত করলেন, প্রভু গাে, লােকটি আমার কাপড় ফিরিয়ে দিল। আপনিও তার হাত দুম্বনির শক্তি ফিরিয়ে দিন। লােকটির হাত আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল।
তাঁর মৃত্যুর পর কেউ তাকে স্বপ্নে দেখে প্রশ্ন করেন, আল্লাহ আপনার সঙ্গে কিরূপ আচরণ করছেন? তিনি বলেন, আমি যখন স্নান করি তিনি আমার কাপড় পাহারা দেন। লােকটি বলে, সে আবার কি? তখন হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র) উল্লিখিত কাপড় চুরির ঘটনা বলে বলেন, সম্ভবত সেইজন্য এমন ঘটছে।
কেউ কেউ তাকে মারতে যায় আর কি! হযরত আবুল হাজার নূরী বাগদাদী (র) মােটেই বিব্রত না হয়ে শান্ত গলায় বললেন, আপনারা এর প্রতি অবিচার করবেন না। এ অপরাধী নয়। আসল চোর মাল নিয়ে এখুনি এখানে আসছে। কথাটা বলতে না বলতেই একটি লােক সেখানে হাজির। আর তার সঙ্গে সেই চুরি যাওয়া বন্তু। পুলিশরা দাসীকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলেন। এবার পরিচারিকাকে লক্ষ্য করে হযরত বললেন, কী! আমার মতাে জঘন্য আনাড়ি লােকই তো দেখি তােমার কাজে এসে গেল। পরিচারিকার তখন কথা বলার শক্তি নেই। সে অনুতপ্ত। আর ক্ষমাপ্রার্থী।
একবার তিনি দারুণ অসুস্থ। কিছু ফলমূল নিয়ে তাকে দেখতে এলেন হযরত জুনায়েদ (র)। ঘটনাক্রমে কিছুদিন পরে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) পড়লেন অসুখে। আর কিছুটা সুস্থ হয়ে শিষ্য তাঁকে দেখতে গেলেন আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র) তার বিছানার পাশে বসে তিনি তার শিষ্যদের বললেন, এস, আমরা হযরত জুনায়েদ নূরী বাগদাদী (র)-এর রােগ নিজেদের মধ্যে কিছু কিছু বন্টন করে নিই। সঙ্গে সঙ্গে সবাই তার প্রস্তাবে সায় দিলেন।
আল্লাহর রহমতে অল্পক্ষণের মধ্যে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেন। তখন হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র) তাঁর মুরীদদের বললেন, দেখলে! ঘটনাটা মনে রেখ । যকনই কোন রােগীকে দেখতে যাবে, তখন ফলমূলের বদলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তার রােগ সবাই নিজেদের জোর করে জেলে দেওয়া হল। বেচারা কিন্তু হা-হুতাশ না করে চুপচাপ থাকল। ঘটনাটি ঘটল হযরত আবুল নূরী (র)-এর সামনেই। তিনি জেলখানায় গিয়ে বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি ওদের অত্যাচার কি করে সহ্য করলেন?
বৃদ্ধ বললেন, ধৈর্য ও সহিষুতার সঙ্গে সম্পর্ক মনােবল ও সাহসিকতার, দৈহিক শক্তি-সামর্থ্যের নয়।
ধৈরে স্বরূপ কি? বিপদকে খুশি মনে মেনে নেওয়া। বিপদমুক্ত হলে মানুষ যেমন খুশি হয়। হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র) বলেন, মারেফাত এমন একটি জিনিস যা লাভ করতে হয় আগুনের সাত সমুদ্র তেরাে নদী অতিক্রম করে। কিন্তু তা লাভ হলে ইহকাল-পরকালের জ্ঞান আয়ত্ত হয়ে যায়।
একবার হযরত আবু হামযা (র) আল্লাহর নৈকট্য সম্পর্কে আলােচনা করছিলেন। হযরত আবুল হাসান নূরী বাগদাদী (র) আবু হামযার (র)-এর এক শিষ্যের কাছে তাকে সালাম জানিয়ে বলে দিলেন, আমরা আল্লাহর নিকট থেকে নিকটতর বলে মনে করি। আসলে আমরা কিন্তু তার থেকে অনেক দূরে আছি।
মানুষ কখন লােককে উপদেশ দান করার যােগ্যতা লাভ করে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যখন মানুষ আল্লাহকে চিনতে সক্ষম হয় এবং তার মধ্যে এমন শক্তির সঞ্চায় হয় না, লােককে উপদেশ দিতে ও বােঝতে পারে। আর সে যদি নিজেই আল্লাহকে চিনতে না পারে, তাহলে অন্যকে আর কী উপদেশ দেবে, আর তার ফলই বা কী হবে।
তাঁর মৃত্যুর পর হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (র) মন্তব্য করেন, এখন আর সত্যের কথা বলার মতো কেউ থাকল না। যেহেতু এ কালের তিনিই সিদ্দিক।
আরও পড়ুনঃ
* হযরত আবু হাফস হাদ্দাদ খোরাসানী (রাঃ) জীবনী
* হযরত ইমাম শাফেয়ী (রাঃ) জীবনী
0 মন্তব্যসমূহ